নবীগঞ্জ ও বাহুবল প্রতিনিধি ॥ ‘ছেলেটা স্বপ্ন দেখত বিদেশে গিয়ে ভালো কিছু করবে। ভাইয়ের মতো ইংল্যান্ডে গিয়ে পরিবারের হাল ধরবে। এখন সেই হাসানের লাশ ঘরে পড়ে আছে...— কথাগুলো বলতে বলতে কান্নায় ভেঙে পড়ছিলেন মা।

নবীগঞ্জ উপজেলার মুড়াউড়া গ্রামের ২২ বছর বয়সী যুবক হাসান খাঁন আর কোনোদিন ফিরবেন না প্রিয় মোটরসাইকেল নিয়ে। রবিবার সন্ধ্যায় বাহুবলে কাভার্ড ভ্যানের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষে প্রাণ হারান তিনি।

ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের বাহুবলের কল্যাণপুর চকসুখচর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিপরীত দিক থেকে আসা একটি কাভার্ড ভ্যান আচমকাই মোটরসাইকেলের ওপর উঠে যায়। ঘটনাস্থলেই মারা যান হাসান।

বিকেলে তিন বন্ধু একসঙ্গে বের হয়েছিলেন— হাসান, মুড়াউড়ার আজিজুল ও আনগাঁও গ্রামের সিয়াম। মোটরসাইকেল চালাচ্ছিলেন হাসান। আহত হয়েছেন বাকি দুজন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।

হাসানের পরিবার জানায়, বড় ভাই ইংল্যান্ডে থাকেন। ভাইয়ের দেখানো পথেই এগোচ্ছিলেন হাসান। পড়াশোনা ছেড়ে কাগজপত্র ঠিকঠাক করে ইংল্যান্ডে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। সেই অপেক্ষার মধ্যেই থেমে গেল সব।

সরেজমিনে হাসানের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, ঘরে শোকের মাতম। মা ও বাবা বারবার মুর্ছা যাচ্ছেন। ইউপি সদস্য শাহ যোবায়ের আহমেদ নিহতের বাড়িতে গিয়ে স্বজনদের সান্তনা দেওয়ার চেষ্টা করছেন।

পুটিজুরী তদন্ত কেন্দ্রের উপপরিদর্শক (এসআই) রতন লাল জানান, ঘটনার পর কাভার্ড ভ্যানটি দ্রুত সরিয়ে নেওয়া হয়। এর সন্ধান এখনও মেলেনি।