জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) মাধবপুরের প্রধান সমন্বয়কারী আছমা আক্তার চৌধুরীর দায়ের করা মামলায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের হবিগঞ্জ জেলা কমিটি। মামলায় আন্দোলনের মাধবপুর উপজেলা আহ্বায়ক ও সদস্যসচিবসহ পাঁচজনকে আসামি করা হয়েছে।

এছাড়া আওয়ামী লীগের পক্ষে রাজনৈতিক তৎপরতার অভিযোগে সম্প্রতি গ্রেপ্তার ওই নেত্রীর স্বামীকে জেল থেকে মুক্ত করতে ‘অপচেষ্টা’ চলছে বলেও অভিযোগ করেছে আন্দোলন।

জানা গেছে, গত মঙ্গলবার আছমা আক্তার চৌধুরীর স্বামী ও মাধবপুর উপজেলা বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি আজিজুর রহমান জয়কে আটক করে মাধবপুর থানায় সোপর্দ করেন আন্দোলনের কর্মীরা। পরে আওয়ামী লীগের অনলাইনে ঘোষিত ‘ঢাকা লকডাউন’ কর্মসূচির তৎপরতা চালানোর অভিযোগে তার বিরুদ্ধে মামলা দিলে গ্রেপ্তার দেখানো হয় এবং তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। বাদী হয়েছেন আন্দোলনের আহবায়ক সিরাজুল ইসলাম তানজীল।

এদিকে সম্প্রতি উপজেলা এনসিপির কার্যালয় ভাংচুরের অভিযোগে মাধবপুর থানায় পাল্টা মামলা দায়ের করেছেন এনসিপি নেত্রী আছমা আক্তার চৌধুরী। মামলায় উপজেলা এনসিপির আহ্বায়ক সিরাজুল ইসলাম তানজিল ও সদস্য সচিব সামছুল আলম বাবলুসহ পাঁচজনকে আসামি করা হয়েছে। বাকিদের মধ্যে দুজন জুলাই  যোদ্ধা এবং একজন আন্দোলনের কর্মী।

মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, আসামিরা ৬ জুলাই ও গত মঙ্গলবার দুটি পৃথক ঘটনায় এনসিপির কার্যালয়ে ভাংচুর চালিয়ে প্রায় দেড় লাখ টাকার ক্ষতি করেছেন এবং মূল্যবান মালামাল লুট করেছেন। আছমা চৌধুরীকে প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগও আনা হয়েছে।

এ মামলার পরই উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন আন্দোলনের হবিগঞ্জ জেলা আহ্বায়ক আরিফ তালুকদার ও সদস্য সচিব মাহদী হাসান। তারা এনসিপি নেত্রীর স্বামীকে ছাড়ানোর চেষ্টা এবং আন্দোলনের নেতাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরকে শহীদের রক্তের প্রতি অবমাননা হিসেবে উল্লেখ করে মামলাটি প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন।

এ ব্যাপারে মাধবপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কবির হোসেন খোয়াইকে বলেন, “এনসিপি নেত্রী আছমা চৌধুরীর মামলাটি সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশের ২৬ ধারা ও দ-বিধির কয়েকটি ধারায় মামলাটি রুজু করা হয়েছে। আর বৈষম্যবিরোধী ছাত্রআন্দোলনের মামলা হয়েছে সন্ত্রাসীবিরোধী আইনে। উভয় মামলা তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”