বানিয়াচংয়ে নিখোঁজের একদিন পর জলাশয় থেকে সালোয়ার-কামিজ জড়ানো অবস্থায় মাদরাসাছাত্র মঈনুল ইসলামের মরদেহ উদ্ধার হওয়ার ঘটনায় আরও একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। তাকে দুই দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। গ্রেপ্তার মান্না মিয়াকে (২১) বৃহস্পতিবার দুই দিনের রিমান্ডে পিবিআই কার্যালয়ে নেওয়া হয়েছে। তিনি উপজেলার জাতুকর্ণপাড়া বাগানবাড়ির সেতু মিয়ার ছেলে।

বানিয়াচং উপজেলার দক্ষিণ-পূর্ব ইউনিয়নের দোয়াখানী মহল্লার বাসিন্দা ও হিফজ বিভাগের ছাত্র মঈনুল গত ২১ অক্টোবর সকাল

সাড়ে ১১টার পর থেকে নিখোঁজ ছিল। পরদিন দুপুরে স্থানীয়রা হাওরের এক জলাশয়ে তার মরদেহ ভাসতে দেখে। পরে ২৩ অক্টোবর নিহতের পিতা আতিকুর রহমান থানায় অজ্ঞাত আসামীর বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করলে একই এলাকার নূর আলীর ছেলে ও নিহতের চাচাতো ভাই মোফাজ্জল হোসেনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাকে দুই দিনের রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল।

রিমান্ডে থাকা মান্না প্রথম গ্রেপ্তার মোফাজ্জলের আপন ভাগ্নে। মামা-ভাগ্নের গ্রেপ্তার ও রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদকে কেন্দ্র করে হত্যাকা-টি এলাকায় আরও আলোচিত হয়েছে। ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটনের অপেক্ষায় রয়েছে এলাকাবাসী।

এদিকে, এক মাদরাসাছাত্রী কিশোরী পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে, মঈনুলের পরিহিত কাপড়গুলো তারই; সে এগুলো বাড়ির উঠানে শুকাতে দিয়েছিল। এখন সেই কাপড় কিভাবে নিহত মঈনুলের গায়ে গিয়েছে, তাও তদন্ত করছে পিবিআই।

গতকাল হত্যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পিবিআই হবিগঞ্জের পরিদর্শক বদরুল হাসানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এখনই এ বিষয়ে কথা বলার সময় আসেনি। তবে শিগগিরই হত্যার রহস্য উদ্ঘাটিত হবে বলে আশা করছেন তিনি।